ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মহিলা ও পরিবার কল্যান সম্পাদক ও জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নিয়াজুল করিমসহ আরো ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার ও শনিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনায় মোট ৪০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে গত ২৭ মার্চ গ্রেপ্তারকৃত নিয়াজুল করিম সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধিকা বাজারে মিছিল এবং রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়। এ সকল মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোককে আসামী করা হয়। পুলিশ শনিবার রাত পর্যন্ত ৪০৩জনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইওয়ান) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সহিংস ঘটনাগুলোর স্থির চিত্রও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত টানা তিনদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। হামলাকারীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ব্যাপক
ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply